Caution! Unverified Website!
The identity of this user has not yet been verified. Please make transactions at your own risk!
শহর জীবনে খরগোশ পালন । অবসাদ মুক্তি ও রফতানি করে বাড়তি আয়
এই ধারাবাহিক লিখায় আমরা জানবো কিভাবে শুরু করতে হবে।আর কোথায় বিক্রয় করবেন। আর কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
মোট ৩ পর্বে টপিক্টা ভাগ করা হয়েছে
চাইলে এই খরগোশ এর ফেসবুক গ্রুপ থেকে খরগোশ ফ্রি নিতে পারেন
ফ্রিতে খরগোশ নিতে যোগ দিতে পারেন ।খারগোশ বিষয়ক ফেসবুক গ্রুপ
Rabbit Welfare Society of Bangladesh
লিংক ঃ-
https://www.facebook.com/groups/rwsbangladesh
এই ছাড়া ফেসবুকে এই সকল গ্রুপ থেকে হেল্প নিতে পারেন
1) যারা খরগোশকে নিজের সন্তান এর মত পালন করেন। তাদের জন্য PPR গ্রুপ।
PPR গ্রুপ লিংকঃ-
https://www.facebook.com/groups/pprabbit
২) ঘাস,হে,পেলেটস ছাড়াও খরগোশ পালন এর যাবতীয় জিনিস নিতে পারবেন RAOB গ্রুপে।
RAOB গ্রুপ লিংকঃ-
https://www.facebook.com/groups/673929116738047/
এই ধারাবাহিক লিখায় আমরা জানবো কিভাবে শুরু করতে হবে।আর কোথায় বিক্রয় করবেন। আর কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
মোট ৩ পর্বে টপিক্টা ভাগ করা হয়েছে
পর্ব ১) খরগোশের প্রজনন , খরগোশের জাত ,খরগোশের খাদ্য তালিকা,খরগোশের বাচ্চার যত্ন,খরগোশের চিকিৎসা, সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।
পর্ব ২) খরগোশের জাত,খরগোশের খাদ্য তালিক, খরগোশের বাচ্চার যত্ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
পর্ব ৩) রপ্তানি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আজ থাকছে সাধারন আলোচনা
মাত্র ৫০০০/১০০০০ টাকা বিনিয়গ করেই বাসাই পালন করতে পারেন ।উন্নত জাত এর খরগোশ। যা আপনি খুব সহজে দেশে ও দেশের বাহিরে রফতানি করে মাসে ভালো আয় করতে পারেন।
একটি পোষা খরগোশ গ্রহণ করার আগে প্রথম বিবেচনা করতে হবে যে , খরগোশ দীর্ঘদিন বাঁচে তাই দীর্ঘদিন ধরে তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। খরগোশ এমন প্রাণী যারা তাদের মালিকের পরিবারের সাথে থাকতে পছন্দ করে । কিন্তু তাদেরও কিছু সময় ছেড়ে দেওয়া উচিত যা আপনার জানা উচিত। নিয়মিত পোষা প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার জন্য তাদের একটি ভাল পশুচিকিত্সকের দরকার । আপনি যদি সঠিক জিনিসগুলি না করেন তবে কোন পোষা প্রাণী পালন করার দরকার নাই ।
খরগোশের প্রজনন
খরগোশ সাধারণত ৫-৬ মাস বয়সে প্রথম
প্রজননক্ষম হয়, তবে ঋতু এবং পর্যাপ্ত ওজন
প্রাপ্তির উপর অনেকাংশে ইহা নির্ভরশীল৷
• গর্ভবতী খরগোশ ২৮-৩৪ দিনের মধ্যে
বাচ্চা দেয়৷
• বাচ্চার ওজন মায়ের দৈহিক ওজনের সাধারণত ২%
হয়৷
• খরগোশের দুগ্ধদান কাল সময় ৬-৮ সপ্তাহ
খরগোশের জাত
বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিভিন্ন জাতের খরগোশের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
১)ডার্ক গ্রে (নেটিভ)
২) ফক্স
৩) ডাচ
৪)নিউজিল্যান্ড লাল
৫) নিউজিল্যান্ড সাদা
৬) নিউজিল্যান্ড কালো
৭) বেলজিয়াম
৮) ছিনছিলা
খরগোশ বিক্রয়
ফেসবুক গ্রুপ থেকে কিনতে পারেন
গ্রুপ লিংক ঃ- www.facebook.com/groups/rwsbangladesh
এছাড়া ঢাকায় কাঁটাবন, মিরপুর ১ পাবেন।
তবে গ্রুপে দাম কম । অনেক সময় তারা ফ্রিতে দিয়ে থাকে ।
খরগোশের খাদ্য তালিকা
বয়স ও প্রজাতি ভেদে খরগোশের খাবার গ্রহণ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। একটি বয়স্ক খরগোশের খাদ্যে পুষ্টির জন্য ক্রুড প্রোটিন ১৭-১৮%, আঁশ ১৪%, খনিজ পদার্থ ৭% ও বিপাকীয় শক্তি ২৭০০ কিলোক্যালরী/ কেজি হওয়া প্রয়োজন।
খাদ্যে পরিমাণঃ
বয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতিদিন ১৩০-১৪৫ গ্রাম, দুগ্ধবতী খরগোশের জন্য প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম ও বাড়ন্ত খরগোশের জন্য প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
খাদ্যের ধরণঃ
সবুজ শাক-সবজিঃ ঋতু ভিত্তিক সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলা, শশা, শাকের উচ্ছিষ্টাংশ, সবুজ ঘাস ইত্যাদি।
খরগোশের বাচ্চার যত্ন
১)খরগোশের বাচ্চা দিলে মা ও বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকুন।
২) বাবাকে আলাদা রাখুন।
৩) বাচ্চাকে হাত দিয়ে ধরবেন না।
৪) বাচ্চারা যাতে শুকনো থাকে তার জন্য খাঁচায় শুকনো ঘাস বা খড় দিয়ে রাখুন। তুলো দিবেন না।
৫) ঘনোঘনো উঁকিঝুকি মারবেন না।
৬) মাত্র কয়েক মিনিট মা বাচ্চাদের দুধ দেয়। আর সেটা ২৪ ঘন্টায় ২-৪ বার। যা বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট।
৭) আপনি সামনে থাকলে মা দুধ দিবে না। তাই দুধ দিচ্ছে নাকি দিচ্ছে না। সেটা আপনি দেখতে পাবেন না।
৮) মাকে বিরক্ত করবে না।
৯) বড় খাঁচায় রাখুন।
১০) মাকে সাজিনা পাতা দিন। দুধ বাড়বে।
১১) বাচ্চারা জম্মের পর বেশ কয়েক ঘন্টা দুধ ছাড়াও থাকতে পারে তাই ভয় পাবেন না।
১২) পিডেটর, লাল পিপড়া ইত্যাদির হাত থেকে বাচ্চা
রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে।
খরগোশের চিকিৎসা
দাঁত বড় ঃ-
কারণঃ
একটি খরগোশের দাঁত সারা জীবন ধরে বেড়ে ওঠে (overgrowth of incisors, premolars and molars )। যদি একটি খরগোশ ফাইবার খাওয়ার দ্বারা ক্রমাগত দাঁত নাড়তে থাকে তখন আমরা তাদের সম্মুখ দাত দেখতে পাই যা পরে স্পাইক তৈরি করে গাল এবং জিহ্বা ক্ষতি করে। ব্যথার কারণে খরগোশ খেতে চাই না ।
লক্ষণঃ
মুখে সম্মুখের কুমিরে দাতের মত দাত বাহিরে বেরিয়ে আসে। গুরুতর ক্ষেত্রে সামনের দাতগুলি curl হয়ে চারপাশেও দেখা যায়। মুখ বন্ধ করে রাখে এবং খাওয়া ছেড়ে দেয় পরে আক্রান্ত খরগোশ মারা যায়।
চিকিৎসাঃ
সাধারণ অ্যানেশথিক ব্যবহার করে এবং দাঁত কেটে overgrown দাঁত সংশোধন করা হয়। এটি ব্যয়বহুল।
প্রতিরোধঃ
খরগোশের খাদ্যে শুকনা সবুজ ঘাসের পরিমাণ বাড়িয়ে ও শাক সবজির পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
বিঃদ্রঃ খরগোশকে বাজার থেকে কিনো কোনো কম্পানির পেলেটস খাওয়াবেন না।
সালমোনেলোসিস
কারণঃ
সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ ৷ এই রোগে খরগোশের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও পাতলা পায়খানা হয়৷ গর্ভবতী খরগোশের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই রোগে খরগোশের মৃত্যুহার অনেক বেশী৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
খরগোশের খামার পরিষ্কার রাখতে হবে৷ দুষিত জল বা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে৷ মৃত খরগোশেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷ খরগোশের খামারটিকে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
চিকিৎসাঃ
এনরোফ্লক্সাসিন বা সেফালোক্সিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন নামক আন্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়
সালমোনেলোসিস
কারণঃ
সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের কারণ ৷ এই রোগে খরগোশের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও পাতলা পায়খানা হয়৷ গর্ভবতী খরগোশের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই রোগে খরগোশের মৃত্যুহার অনেক বেশী৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
খরগোশের খামার পরিষ্কার রাখতে হবে৷ দুষিত জল বা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে৷ মৃত খরগোশেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷ খরগোশের খামারটিকে ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷
চিকিৎসাঃ
এনরোফ্লক্সাসিন বা সেফালোক্সিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন নামক আন্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়
ক্যালিসিভেরাস
কারণঃ
Rabbit Haemorrhagic Disease Virus এ রোগের মূল কারণ। বর্তমানে RHDV ভাইরাস (RHDV1, RHDVa, RHDV2 এবং RHDV1 K5) এর চারটি স্ট্রেন রয়েছে। মশা, মাছির মাধ্যমে এটি খরগোশে সংক্রমিত হয়।
লক্ষণঃ
প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশগুলিতে সংক্রমণের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জ্বর এবং অস্থিরতা থেকে হঠাৎ মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে আসে। ক্যালিসিভেরাস এর ইনকুবেশন পিরিয়ড এক থেকে তিন দিন। সর্বাধিক খরগোশ RHDV বাহ্যিক লক্ষণ কোন লক্ষণ দেখাবে। এই রোগের ফলে রক্তের ক্লোটিং অস্বাভাবিকতার কমে যায় ফলে লিভার নষ্ট হয়ে যায় ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে খরগোশ মারা যায়।
চিকিৎসাঃ
এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই তবে খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রতিরোধঃ
১. RHDV1 টিকা দিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতি ছয় মাসের জন্য টিকাদান করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশকে এ টিকা হয়। বাচ্চাদের আগেই টিকা দেওয়া হয় না। Rabbit Kittens গুলিকে ৪ সপ্তাহ বয়স হলে প্রথম টিকা দিতে হয়। এরপর ছয় মাস পর টিকা প্রদান করা যেতে পারে।
২. খরগোশ হ্যান্ডলিং সময় উষ্ণ সাবান পানি দিয়ে, হাত ধোয়া।
৩. পরিবেশ দূষণ দূরীকরণে যত্ন সহকারে খরগোশকে আলাদা রাখা উচিত।
৪. ভাল পোকা নিয়ন্ত্রণ ঔষধ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
মাইটস
কারণঃ
Myxoma virus এ রোগের মূল কারণ। এটি খরগোশের একটি প্রাণনাশক রোগ ৷ আঙ্গোরা, ফ্লেমিস রাবিট, জ্যাক রাবিট ইত্যাদি প্রজাতির খরগোশের এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশী৷ এই ভাইরাস পক্স ভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত ৷
লক্ষণঃ
রোগগ্রস্ত অবস্থায় খরগোশের প্রজনন ঘটালে মুখ, নাক, ঠোঁট, কান, চোখের পাতা ইত্যাদি অঙ্গে ইডেমা হয়৷ কান দেহ থেকে ঝুলে পড়তে পারে৷ কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হয় ৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
ফর্মালিন বা ৩ শতাংশ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দিয়ে খরগোশের খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে ৷ প্রতিষেধক টীকা পাওয়া গেলে খরগোশকে টীকা দিতে হবে ৷
চিকিৎসাঃ
এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই ৷ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়৷ সেফালেক্সিন বা এনরোফ্লক্সাসিন জলের সাথে মিশিয়ে খরগোশকে খাওয়ানো যেতে পারে৷
চোখ, কান, এবং অন্যান্য অঙ্গ সংক্রামন
কারণঃ
Pasteurella multocida ব্যাকটেরিয়া এ রোগের মূল কারণ এবং এটি চোখ, কান, এবং অন্যান্য অঙ্গ সংক্রামিত করে থাকে।
লক্ষণঃ
সংক্রমিত খরগোশ প্রায়ই তাদের শ্বাসনালিতে তরল এবং শ্লেষার কারণে snuffling বা স্নায়ুর শব্দ হয়। এই রোগ চোখের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, অথবা এটি কানে সংক্রমণের ফলে তাদের কান করতে পারে। কানে ইনফেকশনের করণে 'torticollis' (মাথা ঝাঁকুনিটি, ঘূর্ণায়মান, মাথা ঢাল, বিচ্যুতি, চক্রবৃদ্ধি, বা দাঁড়ানো অক্ষমতা) হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে খরগোশ নিউমোনিয়া বা ব্যাকটোরেমিয়া (ব্যাক্টেরিয়া রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে) গতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, ফোড়া ত্বক, জয়েন্টগুলোতে বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পরতে পারে।
চিকিৎসাঃ
Snuffles সাধারণত ১৪ থেকে ৩০ দিন জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সঙ্গে চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত এনরোফ্লোক্সাসিন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন এবং ট্রাইমথোপ্রিম সালফা ব্যবহার করা হয়। এটি একটি দীঘ্র মেয়াদী চিকিৎসা।
প্রতিরোধঃ
খরগোশের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখলে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ুঝুকি কমে যায়। সংক্রমিত খরগোশের জন্য চাপ কমানো এবং নতুন খরগোশের সংমিশ্রণ রোগের আগমন বা লক্ষণগুলির পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের ভাল উপায়।
((((( ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত)))))
ভেটেনারি ডাক্তার দের নাম ও ফোন নং
DR. SADDAM HOSSAIN 01681272616
DR.ZAHID 01755540914
গুলশান পেট এনিমেল ক্লিনিক 01912251312
Veterinary Hospital, PSTU
01716-022219
কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতাল
৪৮, কাজী আলাউদ্দিন রোড, ঢাকা।
(ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পশ্চিমে এবং বঙ্গবাজারের অপজিটে একটু পশ্চিমে)
**আউট ডোর চিকিৎসা বিভাগ(মেডিসিন এবং সার্জারি বিভাগ)
আউটডোর বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সংখ্যা ০৮ জন। কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের কার্য্যক্রম দুই শিফটে সকাল ০৮ টা থেকে দুপুর ০২ টা পর্যন্ত এবং ২য় শিফট দুপুর ০২ টা থেকে রাত ০৮ টা পর্যন্ত থাকে। কিন্তু সার্বক্ষণিক কোন বিভাগ নাই। তবে চীফ ভেটেরিনারী অফিসারের স্থানীয় আদেশ বলে জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা এখনও চালু রয়েছে। এবিভাগে ডাক্তারবৃন্দ নিয়মিতভাবে রোগী দেখেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে থাকেন।
খরগোশ এর দাম
৫০০-১০০০ টাকা
খরগোশ কতদিন বাঁচে
৮ থেকে ১০ বছর
খুর বিশিষ্ট খরগোশ
খুর বিশিষ্ট খরগোশ হয় না।
খরগোশ নিয়ে যে প্রশ্ন গুলো বেশি করা হয়
আমি এই প্রথম র্যরবিট পালতে চাচ্ছি?
১) আমাদের র্যুবিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অফ বাংলাদেশ ( লিংক ঃ-
https://www.facebook.com/groups/rwsbangladesh/
গ্রুপে একটা এডপ্ট চেয়ে পোস্ট করুন।
২) দুইদিন অপেক্ষা করুন কেউ দিলেও দিতে পারে।
৩) যদি কিনতে চান। তবে দোকান থেকে না কিনে গ্রুপ থেকে কিনুন। কারণ গ্রুপ এর গুলো বাঁচে অনেক দিন। গ্রুপের যার থেকে নিচ্ছেন উনি সব সময় আপনাকে হেল্প করবে।
**** কার কাছ থেকে কিনবো?
১) গ্রুপে অনেকে সেল পোস্ট করে তাদের থেকে কিনুন। তবে কেউ সেল পোস্টে দাম না বলে ইনবক্স এ বললে তার থেকে কিনবেন না। আর কাউকে টাকা অগ্রিম দিবেন না।
**র্যলবিট কি খাই?
ঘাস ৮০%, ১০% ফল, ১০% শাক সবজি। নিচের পিক দেখুন।
****র্যলবিটকে কি খাওয়ানো যাবে না?
পেলেটস,ভাত,রুটি,মুরি,ভুষি,ছোলা, চকলেট, চিপস ইত্যাদি।
****র্যলবিট কে কি ভাবে পরিষ্কার করবো?
গাঁ ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিবেন।
****র্যপবিটকে কি গোসল করানো যাবে?
আপনি আনাড়ি র্যতবিট পালক হলে না। অভিজ্ঞ হলে হা। গোসল করানো খুব বিপদজনক।
**** হে কি? কিভাবে বানাবো?
মাঠে যখন প্রচুর ঘাস জণ্মায় তখন ঘাস রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকেই হে বলে৷ সংরক্ষণ করা শুষ্ক ঘাসে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও গুনগত মান থাকে৷
----------------------------
• যে সকল ঘাসের কান্ড নরম সে সকল ঘাস হে তৈরির জন্য উপযু্ক্ত৷
• সাধারণ ঘাস ছাড়াও জোয়ার, খেসারী, মাটি কলাই, মটরশুটি ঘাস হে তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ৷
• তবে এসব ঘাস শুকানোর সময় পাতা যেন চূর্ণ বিচূর্ণ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ৷
• হে তৈরির জন্য প্রথমে ঘাসগুলোকে ভোরের শিশির শুকানোর পর কেটে আনতে হবে ৷
• ঘাস কাটার পর শুকানোর জন্য কয়েক ঘন্টা ফেলে রাখতে হবে ৷
• যদি প্রখর সূর্যলোক থাকে তা হলে ৪-৫ ঘন্টা পর্যন্ত ঘাসগুলোকে শুকিয়ে নিতে হবে। মাঝে মাঝে উল্টিয়ে দিতে হবে। ঘাসগুলো শুকানোর পর গাইট বাঁধতে হবে৷ বা ছায়ায় রেখে পলিথিন দিয়ে ঢকে রাখতে হবে।
**** র্যেবিট এর কিছু পুষ্টিকর খাবারে নাম বলুন?
১) সাজিনা পাতা ২) ইপিল ইপিল
**** পেলেটস কি খাওয়াবো?
না মটেও না।
**** মশা মাছির জন্য কি করবো?
৩/৪ টা পুদিনাপাতা হাতের তালুতে নিয়ে রস বের করে র্যরবিটের গাঁ মুছে দিন। মশা মাছি বসবে না।
**** মানুষের মেডিসিন কি খাওয়ানো যাবে?
আসলে বেশ কিছু মেডিসিন মানুষ,র্যরবিট,ছাগল সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের জন্য কার্যকর। যেমন ঃ-
হোমিওপ্যাথির নাক্স, অ্যাকোনাইট, ব্রায়োনিয়া এলোপ্যাথির প্যারাসিটামল, ক্লোফেনাক ( কিছুটা ভিন্নতা আছে)।
কিন্তু আপনি জানেন না সেটা কোন অসুখে, কিভাবে,কি কারণে, কতটুকু পরিমানে খাওয়াতে হবে। তাই মেডিসিন নিয়ে কাউকে পরামর্শ দিবেন না। গ্রুপে এমন কয়েক জন আছে যারা ডিভিএম করেছে । তারাও মেডিসিন খাওয়ানোর পরামর্শ দিবেন না। যদি আপনি গ্রুপ এর অনুমোদন প্রাপ্ত ভেটেরিনারি ডাক্তার না হন। তার পরেও যদি কেউ মেডিসিন খাওয়ানোর পরামর্শ দেয় তবে আগে বুঝার চেষ্টা করুন কেনো ও কি কারণে খাওয়াতে বলেছে। এমন হতে পারে যে উনি আপনার থেকে ভালো জানে। মানুষ এর মেডিসিন র্য বিট এর জন্য ব্যবহার করা যাবে না সেটা না। কয়েকটা র্যরবিট এর জন্য ব্যবহার করা যায়। তবে সেটা ডিভিএম পরামর্শ নিয়ে। ( গ্রুপ পোস্ট থেকে নেওয়া)
**** ঢাকায় ভেটেরিনারি ক্লিনিক কোথায়?
পূর্বাচল পেট হাসপাতালে
যেভাবে যাবেন>>
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে brtc বাসে 25 টাকা ভাড়া।নামবেন ল্যাংটার মাজারে।
এরপর রিক্সা 20 টাকা ভাড়া পেট হাসপাতাল।
কম খরচে ভাল চিকিৎসা পাবেন।
****কত দিনে বাচ্চা দেয়? র্যাবিট এর শারীরবৃত্তীয় তথ্যসমূহ জানতে চাই?
#rwsb_info
খরগোশের শারীরবৃত্তীয় তথ্যসমূহঃ-
জীবনকাল ৬-১৩ বছর
পানি গ্রহণের পরিমাণ ৫০ – ১০০ মিলি/কেজি/২৪ঘন্টা
খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৯০- ৩০০গ্রাম/২৪ ঘণ্টা
তাপমাত্রা ১০৩.৩ – ১০৪০F
হৃদ স্পন্দন হার ১৩০ – ১৫০ /মিনিট
শ্বাস-প্রশ্বাসের হার ৩২ -৬০ /মিনিট
প্রজনন ক্ষমতা অর্জন ৪-৮ মাস ( জাত ভেদে ৫-৮ মাস)
গর্ভাবস্থা নির্ণয় প্রজননের ১০-১২ দিন পর পাল্পেশনের মাধ্যমে
গর্ভধারণকাল ৩০-৩২ দিন
নবজাতক (প্রতিবারে বাচ্চা প্রদানের) সংখ্যা ২-৮ টি
নবজাতকের ওজন ৪০-১০০গ্রাম
চোখে দেখা শুরু করে ৭ দিন বয়সে
মায়ের দুধ খাওয়া ছাড়ে ৪-৬ সপ্তাহ বয়সে
**** কি কি ঘাস/ পাতা/ শাক দিবো?
#RWSB_INFO
খরগোশকে যে সকল ঘাস/পাতা/শাক খাওয়াতে পারেন>
• সজিনা পাতা, ইপিল ইপিল পাতা,কচি ঘাস, দূর্বা, সেচি, আরাইল্যা, মাশকালাই, খেসারী আর উন্নত কচি ঘাস হিসাবে নেপিয়ার, রোজি, প্লিকাটুলাম, এন্ড্রোপোগন, সেন্ট্রোসোমা ইত্যাদি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে।
* র্যনবিট পালতে গেলে কি কি বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে?
গোসল করাবেন না।
ভাত দিবেন না।
এক খাবার পর পর প্রতিদিন দিবেন না।
খাবার পানি সব সময় দিয়ে রাখুন।
৪/৫ ঘন্টা ছেড়ে রাখুন।
নিয়মিত আদা ও রসুনের রস খাওয়ান।
**** আদা দিলে কি হয়?
পেটের গ্যাস কমে। পাতলা পটি ভালো হয়। রুচি বাড়ে।
**** রসুনের রস খাওয়ালে কি হয়?
মাসে ২ বার রসুনের রস দিবেন। এতে কৃমি হয় না।
**** তুলসি পাতা কি জন্য দিবো?
এটা সব সময় দিতে পারে। আর ঠান্ডা লাগলে তুলসির রস দিবেন।
**** এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী জেল কেনো ব্যবহার করবো?
র্য*বিট এর চামড়া তে যদি চুলকানি হয় বা লোম উঠে যায়। তখন ক্ষত স্থানে দিন ৩ বার এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জেল লাগাবেন।
এই ছাড়া এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী মাঝে মাঝে খেতে দিতে পারেন।
**** নিম পাতা কি খাওনো যাবে?
নিম পাতা নিয়মিত খেতে দিন।
**** কখন খেতে দিবো?
#RWSB_INFO
খরগোশ কে ৩ বেলা খেতে দিন।
তবে রাতে খরগোশ সব থেকে বেশি একটিভ থাকে। তাই রাতে খাবার এর পরিমাণ দিন এর থেকে একটু বেশি দিবেন। যখন র্যেবিট কে ঘাস দিবেন তখন ঘাস ভিজিয়ে দিন। র্যয়বিট পানি খেতে চাই না তাই এটা কিছুটা পানির চাহিদা পূরন করবে। দিনে র্যরবিট কে খুব বেশি বিরক্ত করবেন না। দিনের সময়টা ওরা বিশ্রাম নিতে চাই। যদি আদর করতে চান সেটা রাত ৬-১০ টা।
**** গরমে কি করবো?
র্য*বিট এর বড় একটা শত্রু গরম। তাই যেদিন তাপমাত্রা বেশি থাকবে সেই দিন ভেজা কাপড় দিয়ে ওদের গাঁ মুছে দিন। বিশেষ করে ওদের দুই কান ও ঘাড়।
**** ফ্যান এর নিচে রাখা যাবে?
সরাসরি ফ্যান এর নিচে না রাখাই ভালো।
**** র্যনবিট সুস্থ নাকি অসুস্থ বুঝবো কি ভাবে?
#RWSB_INFO
র্যSবিট এর কিছু আচারন ও শারীরিক অবস্থা দেখেই বলে দেওয়া যায় সে সুস্থ নাকি অসুস্থ
১) দিনের বেলায় বেশি বিশ্রাম নিবে। ( সুস্থ)
২) কান শক্ত থাকবে ( সুস্থ)
৩) দিনে ও রাতে প্রচুর ঘুমাবে ( অসুস্থ)
৪) কোনো শব্দ হলে মাথা তুলে তাকাবে ( সুস্থ)
৫) চুপচাপ অনেক ক্ষন বসে থাকবে। ডাকলে সাড়া দিবে না ( অসুস্থ)
৬) পটি দানা হবে ও একটার সাথে আরেক টা লেগে থাকবে বা শুকনো হবে ( খুব ভালো র্যয়বিট সুস্থ)
৭) র্য বিট এর পটি গোল দানার মত হবে না ভাঙ্গা হবে ( খারাপ র্যুবিট অসুস্থ)
৮) গরুর পটির মত হবে ( আসুস্থ)
৯) নাক কিছুর সাথে মুছবে ( অসুস্থ)
১০) জিভ দিয়ে পা ও গাঁ চাটবে ( সুস্থ)
১১) এটা ওটা দাঁত দিয়ে কাঁটবে ( সুস্থ)
**** খরগোশ ব্যাথা পেলে কি করবো?
প্যারাসিটামল ভেট খাওয়ান। যদি হাড় ভাঙ্গে তবে ভেটেরিনারি ডাক্তার দেখান।
**** মানুষের নাপা খাওয়ানো যাবে?
না। উপাদানে প্যারাসিটামল ভেট ও মানুষের প্যারাসিটামল প্রায় এক হলেও। ২ টা আলাদা।
**** ভেটেরিনারি ডাক্তার পাবো কোথায়? অসুখ হলে কোথায় নিয়ে যাবো?
জেলা বা উপজেলা পশু হসপিটালে নিয়ে যান। খুব কম টাকায় ভালো চিকিৎসা পাবেন। পশু হসপিটাল প্রতিটি জেলা বা উপজেলায় আছে।
**** আর কোথায় নিয়ে যেতে পারি?
প্রাণী সম্পদ এ নিয়ে যেতে পারেন। জেলা যুব উন্নয়নে নিয়ে যেতে পারেন।
**** আমি খরগোশ এর খামার করতে চাই?
যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। প্রশিক্ষন একদম ফ্রি। মাসে সরকারি ভাতা পাবেন।
কোর্স এর মেয়াদ ৩-৬ মাস।
**** হিট স্টোক হলে কি করবো?
এই গরমে র্য বিট হিট স্ট্রোক করে মারা যায়। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি এর বেশি হলেই র্যিবিট হিট স্টোক করতে পারে।
১) সব সময় ঠান্ডা স্থানে রাখুন। তবে সরাসরি ফ্যান এর নিচে রাখবেন না।
২) সব সময় পানি দিয়ে রাখুন।
৩) ঘাস ভিজিয়ে দিন।
৪) বেশি গরম পড়লে দুই কান, ঘাড় ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
৫) হিট স্ট্রোক বেশি করে সকালে তাই এই সময় বেশি যত্ন নিন।
*** ঘাস চাষ কিভাবে করবো?
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ঘাস উৎপাদন।
ঘাস চাষ পদ্ধতি>>
দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকালে প্রথমে ভুট্টা বা গম ভালো করে ধুয়ে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখবেন। বিকেলে পানি ঝরিয়ে ট্রেতে সমানভাবে ছড়িয়ে তার উপরে ভেজা তোয়ালে বা চট দিয়ে ঢেকে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিতে হবে। এভাবে রাখলে এক দিনের মধ্যে বীজের অঙ্কুরদগম (গজানো) হওয়ার কথা। চারার দৈর্ঘ্য ১-১.৫ ইঞ্চি হলে চট সরিয়ে রাখতে হবে। আর বীজের অঙ্কুরদগমের পর থেকে ৩-৪ ঘণ্টা পর পর পানি স্প্রে বা ছিটিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি ট্রেতে জমে না থাকে। ট্রে একদিকে সামান্য ঢালু করে শেষ প্রান্তে নিচের দিকে ছোট কয়েকটি ছিদ্র করলে অতিরিক্ত পানি এমনিতে ঝরে যাবে। বাঁশের ফ্রেম করে তাক বানিয়ে শেলফের মতো করে অনেকগুলো ট্রে সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। চাইলে লোহা বা কাঠ দিয়ে আরো ভালো একটা সিস্টেম বানিয়ে নিতে পারেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি স্প্রে করার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। ইউটিউবে খুঁজলে অসংখ্য ভিডিও পাবেন। যাই হোক, ঠিকঠাক পানি স্প্রে করলে সাত থেকে নয় দিনের মধ্যে ৬-৯ ইঞ্চি হবে। তখন খাওয়ানোর উপযুক্ত হবে।
এক কেজি পরিমান ভুট্টা বা গমে ৭-১০ কেজি পরিমাণ গ্রিন ফোডার পাওয়া যেতে পারে। আর যদি তাক বানিয়ে ট্রে সাজাতে পারেন তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটি তাকে ট্রে সাজানোর মাঝখানে হিসাব করে ব্যবধান রাখবেন।
We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!
Have a great day!
Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support